Summary:
ফিরাস আল খতীব তার ‘লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’ বইতে ইসলামের ইতিহাসের সেই সামগ্রিক চিত্র ছোট কলেবরে নিয়ে আসার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস’ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। প্রকাশের পর থেকেই বইটি আন্তর্জাতিক বাজারে বেস্টসেলারের তালিকায় স্থান করে নেয়। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের কাছে বইটিকে বোধগম্য করতে বইটির অনুবাদ নিয়ে এসেছে প্রচ্ছদ প্রকাশন। অনুবাদ করেছেন আলী আহমাদ মাবরুর। বইটি সম্পর্কে আরও একটি মূল্যবান তথ্য হলো, বর্তমান মিডিয়ার জনপ্রিয় তরুণ ইতিহাসবিদ ইমরান রাইহান ভাই বইটির একটি রিভিউ লিখেছেন। রিভিউটিতে ইসলামের ইতিহাস পড়তে আগ্রহী এমন সবাইকে তিনি এই বইটি পড়তে উৎসাহিত করেছেন। বইটিকে সাজানো হয়েছে ১২টি অধ্যায়ে। প্রথমে লেখক একটি সুন্দর ভূমিকা লিখেছেন। তারপর প্রথম অধ্যায়ে এনেছেন ইসলামপূর্ব আরবের কথা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে নবিজীর (সা.) জীবন ও তার জীবিত থাকাকালীন ইতিহাস নিয়ে। তৃতীয় অধ্যায়ে আলাপ হয়েছে, খোলাফায়ে রাশেদার যুগের ইতিহাস নিয়ে। চতুর্থ অধ্যায়ে ‘মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা’ শিরোনামে আলোচনা এসেছে উমাইয়া শাসনামল এবং তৎপরবর্তী আব্বাসীদের উত্থান নিয়ে। পঞ্চম অধ্যায়ে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক সোনালী যুগ’ শিরোনামে কথা হয়েছে আব্বাসীদের আমলে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষসাধন নিয়ে। পরের শিরোনামগুলোর ভেতরেও লেখক বিভিন্ন শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস নিয়ে এসেছেন বর্তমান সময় পর্যন্ত। যার মধ্যে সংক্ষেপে উঠে এসেছে, আন্দালুস বিজয়, কনস্টান্টিনোপল বিজয়, ভারতবর্ষে মুসলিমশাসনসহ আরো অনেক মূল্যবান আলাপ-আলোচনা।