image
গুনাহকে না বলতে শিখুন By : মুফতি ড. আবু তামিম
Category : ইসলামি বই
৳192 ৳240

Summary:

মানুষ আল্লাহর রশিকে ছেড়ে দিয়েছে, গুনাহকে গুনাহই মনে করছে না। ফিরে আসছে না আল্লাহর পথে, এতে আল্লাহর কিছু এসে যাবে না। কিন্তু আল্লাহর নবীর ওয়ারিশ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব যে সাধারণ মানুষকে যতটা সম্ভব সহজভাবে ওই সমস্ত গুনাহ থেকে বিরত রাখা। যার অধিকাংশ আমাদের চোখের সামনে থাকলেও অন্তরের চোখে পর্দা পড়ে যাওয়ার কারণ যেগুলোকে আমরা গুনাহ বলে মনেই করি না। গুনাহগুলোকে মূল্যহীন মনে করায় সেটি বর্তমান জীবনের বিশেষ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন চুল বা দাড়ি রঙ করা, এক মুঠির কম দাড়ি রাখা, চুল বা দাড়ির ডিজাইন করা, নেলপালিশ ও ভ্রু প্লাক করা, টিপ পরা, পরপুরুষকে বেপর্দা দেখা দেয়া বা অবাধ মেলামেশা, বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য সাজগোজ করে পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করা, জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করা, পাক-নাপাক সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা, বিশেষ করে এমন হারাম কাজ যেটাকে আমরা আলেম সমাজ ও বেঁচে নেই, বরং এত বড় একটা গুনাহকে মনে হয় আমরা গুনাহর খাতা থেকে মিটিয়েই দিয়েছি সেটা হলো অপ্রয়োজনে ছবি তোলা, সেলফি তোলা ও ভিডিওগ্রাফি করা বা করানো, যেগুলো নিষ্প্রয়োজন, এই ধরনের আর কিছু অজানা ভুলগুলোকে তুলে ধরা এবং আল্লাহর ও তার রাসুলের শিক্ষাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার উদ্দেশে এ বইটি তারই একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টামাত্র। যাদের আমরা সবচেয়ে সভ্য ও মডার্ন মনে করি। সর্বক্ষেত্রেই তাদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে নির্দ্বিধায় তাদের অনুকরণ ও অনুসরণ করার প্রচেষ্টায় আমরা ভুলে যাই আমাদের সংস্কৃতি। আমরা ভিনদেশী কৃষ্টি-কালচার আচার নেচারকে অবলীলায় গ্রহণ করে নিজেদের মডার্ন হওয়াকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ওই ধরনের অসভ্য কাজের ওপর সভ্যতার প্রলেপ চড়িয়ে দিই এবং তার পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করি না। জনসাধারণকে সেসব থেকে বিরত থাকার বা রাখার প্রচেষ্টা না করে তাদের পরামর্শ দিই ওই ধরনের অসভ্যতা করো কিন্তু সভ্যতার সাথে। যেমন ব্যভিচারিণী নামটাকে পরিবর্তন করে, সেক্স ওয়ার্কার আখ্যা দেয়া হয়, শ্রুতিগতভাবে মনে হয় এরাও যেন কোনো সোশ্যাল ওয়ার্কার। অতএব যে জন্য এইডস হচ্ছে সেটা ক্রমাগত রাখো, ব্যভিচার করো কিন্তু কনডমের সাথে। অতএব ব্যভিচারও চলবে পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসা-ওষুধও চলবে। কিন্তু আমরা ওই চিকিৎসায় সচেষ্ট নই যেটা করলে এইডস হওয়া তো দূরের কথা, কাছেও আসতে পারবে না। সেটা হলো ইসলামের চিকিৎসা, কোরআনের চিকিৎসা। কোরআনে বলা হয়েছে- তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। সুতরাং আমাদের যাওয়াটা বন্ধ হলে রোগ আসাটাও বন্ধ হবে। তবুও আমরা ইসলামের চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী নই, কারণ তাহলে আমাদের পিছিয়ে পড়া বা ব্যাকডেটেড বলা হবে।

Related Products